কেমন আছো তুমি?
বড় জানতে ইচ্ছে করে।
বর্তমানের চাদর ফেলে দিয়ে,
ফিরবে কি গো অতীত স্মৃতি নিয়ে।
হয়তো এখন ব্যস্ত তুমি –
দারুন যে সংসারী,
সকল কল্পলোকের কথায় –
তাই দিয়েছো আড়ি।
হয়তো বুঝি ক্রোধের বসে –
ভুলতে শুধু চাও,
অতীত নিয়ে টানা পড়েন –
কেবল শুন্য পাও।
হয়তো বুঝি ভর দুপুরে –
ঘুঘুর ডাক শুনি,
এলো চুলে জেগে ওঠো –
কেবল ভাব তুমি।
তুলসীতলায় প্রদীপ হাতে –
নিঝুম সন্ধ্যা বেলা,
ঘর ফেরা সব পাখির ডাকে –
হও বুঝি একলা।
হয়তো দূরে গিয়ে,
আমায় তুমি খোঁজ বুঝি –
কল্পনা চোখ দিয়ে।
সময় অনেক খুইয়ে দিয়ে –
মাঝ বয়সে এসে,
তারুণ্যের সেই দিন গুলো সব –
কেবল মনে ভাসে।
তুমি তখন অষ্টাদশী –
আমি বোধয় বিশ,
হারানো সেই দিনের রেখায় –
আঁধারে মিলমিশ।
বন্ধ মনের কার্ণিসেতে –
আটকে থাকা সুতো,
দমকা হাওয়ায় ঘুড়ির টানে –
নড়ছে অবিরত।
পিছন ফিরে তোমায় খুঁজি –
কৌতুহলের বসে,
সকল জানার ইচ্ছে গুলো –
জবাব দিয়ো হেঁসে।
হয়তো কভু মিলব নাতো –
এই জীবনে হায়,
হাওয়ায় শুধু বলে রেখো –
রহিব প্রতীক্ষায়।
– শঙ্খচূড়
৩রা ফাল্গুন ১৪২৯