অবসাদের ক্লান্তি নিয়ে নেইকো কোনো সাথী – সারমেয়দের সঙ্গী করে দুঃখ সুখে মাতি,
জীবন যখন শুরুর পথে স্বপ্ন ছিল ভরা – কাব্য মুখর জীবন টাকে ইচ্ছা ছিল ধরা।
দিনরাত্রের ফারাক ভুলে অনেক ঝড়া ঘামে – সুখের কলস পেয়ে ছিলাম রেখেছি সম্মানে,
জীবন তখন ছন্দ মুখর স্বপ্নে ভরা ঝুলি – ক্যানভাইতে সুখের আঁচড় না থেমে যে তুলি।
স্রোত লেগেছে ভাটার টানে নোঙ্গর গেছে ছিঁড়ে – স্বপ্নে ভরা আমার তরী হারিয়ে গেছে ভিড়ে,
জমাট ভরা কালো বাদল বজ্র পতন হলো – সবুজ ভরা গাছের বুকে মৃত্যু নিসি এলো।
ঝলসানো ওই কায়া নিয়ে কুঁকড়ে ওঠা আমি – স্বর্ণঅতীত দাঁড়িয়ে আছো কি নিষ্ঠূর তুমি,
দগ্ধ আমি, মলিন আমি, আর্তনাদের মাঝে – সুখের খাতার স্বর্ণ লিখন কখন গেছে ভিজে।
পরিহাসের বদ্ধ ঘরে আমি যে দুর্বার – জীবনের এই কুরুক্ষেত্রে লড়ছি বারংবার,
যন্ত্রণাতে আঁচড় লাগে অতীত রোমন্থনে – ছলছবিদের আনাগোনা মনের কোনেকোনে।
কেইবা জানে সৌধ ছিল বালু দিয়ে গড়া – সময়ের এক ঝটকা টানে কেবল ঝরে পড়া,
ছিন্নমূলের পানার মতো কেবল চলি ভেসে – শক্ত নদীর চড়া পেলে শিকড় দেবে ঠেসে।
আঁকড়ে রবো মাটির বুকে সবুজ পাতা মেলে – প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে দেব তোমায় সাথী পেলে,
মুক্ত হবো অবসাদের ছিড়বে সকল বেড়ি – দাঁড়িয়ে থেকো কেবল পাশে জিততে আমি পারি।
পোস্টমর্টেমের শল্য ঘরে চাইনা যেতে আর, ঠিকবেঠিকের বিশ্লেষণের কাটব সকল তার,
আর্তনাদের আঁকিবুঁকি মনের কনকনে – নিজের সাথে নিজের মেলা কেবল মনে মনে।
মুক্ত দুয়ার, খোলা আকাশ, সাদা মেঘের রাশি, ইচ্ছে করে তোমার পশে বসে কেবল হাঁসি,
জীবন পাশায় জিততে যে চাই শুধু থেকো পাশে – পরে থাকা বাকি জীবন কাটাতে চাই হেঁসে।
অবসাদের দেওয়াল টাকে করবো যে নির্মূল – দেখো আমার পানা গাছে ফুটছে কত ফুল।
– শঙ্খচূড়
২৬শে ফাল্গুন ১৪২৯