তোমাকে দিতে চাই –
দিগন্ত শেষে ঘন বনানীর – চির সবুজের আভা
গিরি শৃঙ্গের বরফ মুকুটে – ঝলমলে ওঠা শোভা।
একতারা হাতে উদাসী বাউল – কাঁধে বৈরাগী ঝোলা
দুষ্ট দমনে ভবানীর গলে – নর মুন্ডের মালা।
শালুকেতে ভরা দীঘির মাঝেতে – মৌমাছির গুঞ্জন
সন্ধ্যা বেলায় পাখির বাসাতে – কিচিমিচি আলোড়ন।
কাঁধে ছড়ি নিয়ে রাখালেরা ফেরে – নিঝুম গোধূলি বেলা
প্রকৃতি মিশেছে সন্ধ্যার সাথে – লাল আবিরের খেলা।
ভ্রান্ত মাঝির হাল ভাঙা তরী – খাড়া এক বাতি ঘর
গহন সাগরে আশার বার্তা – বয়ে যাক যত ঝড়।
হিমেল বাতাসে ঘাসের বুকেতে – ভোরের শিশির বিন্দু
ঝিনুকের বুকে সাদা মোতি হয়ে – খাজানায় ভরা সিন্ধু।
জোৎস্নার রাতে পাতার বুকেতে – সোনার ঝর্ণা ধারা
বালকেরা খেলে খেলাঘর নিয়ে – হয়ে যে আত্মহারা।
ছড়ির টানেতে বেহালার বুকে – বেজে ওঠা কোনো সুর
তারায় খচিত আকাশ গঙ্গা – মনে হয় না তো দূর।
যৌবনে ভরা শক্ত পেশিতে – আছে দুরন্ত গতি
সব কিছু নাও অকৃপণ ভাবে – মনে হবে বড় প্রীতি।
সব সেরাগুলো পসরা সাজিয়ে – দিতে চাই তোমাকেই
উদাসী আমি যে ক্লান্ত হয়েছি – তুমি ছাড়া কেহ নেই।
– শঙ্খচূড়
১৩ই ভাদ্র ১৪২৯
আমার লেখা আরও কবিতা পড়ুন:-
- বন্ধু নিয়ে কবিতা – “আতসকাঁচের নিচে”
- বৃষ্টি নিয়ে কবিতা – অমৃত ধারা
- “পদচিহ্ন” – ফেলে আসা স্মৃতি নিয়ে কবিতা
- ফকির- স্পিরিচুয়াল বাংলা কবিতা