আমি দেখেছি,
তোমার এলোমেলো আড়ষ্ট পদক্ষেপ
সুতো ছেঁড়া ঘুড়ির মত – লয়হীন নিচে নামতে।
দূর নীলিমায় দিগন্ত পারে – সবুজ বলাকায়
আমায় বুঝি তুমি দেখোনি!
আমি দেখেছি,
তোমার হটাৎ ঘটা ছন্দপতনের যন্ত্রনাকে
দমকা হাওয়ায় ভেঙে যাওয়া ঝাড়বাতির –
কাঁচের টুকরোয় বিদ্ধ তোমার শরীরের চুইয়ে পড়া রক্ত
নরম অন্তর্বাস কখন যে সব শুষে নিয়েছে
আমায় বুঝি তুমি দেখোনি!
আমি দেখেছি,
তোমার বেবাক চোখে – এক রাশ জমাট অন্ধকারকে
জলে ভরা নিকষ কালো বাদল হয়ে ঝরতে চেয়েছো অঝোরে
তোমার আলিঙ্গনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা চেরাপুঞ্জী পাহাড়
আমায় বুঝি তুমি দেখোনি!
আমি দেখেছি,
তোমার মৌনতায় বেঁধে রাখা – হাজার শব্দ মালাকে
সুরের তুফান হয়ে ভাসতে চেয়েছিলো
কোনো এক ভরা জলসায়
নেপথশিল্পীর সুরে রেকর্ড হয়ে অপেক্ষা করছে
কেবল তোমার ঠোঁট নাড়ানোর
আমায় বুঝি তুমি দেখোনি!
আমি ছিলাম সবুজ বলাকায়
যেখানে তোমার ঘুড়িটা আটকে ছিল – মাটি ছোয়ার আগে
আমি ছিলাম তোমার শরীরে জড়ানো অন্তর্বাসে
তোমার রক্তক্ষরণের প্রতিটা বিন্দু যে শুষে নিয়েছিল
আমি ছিলাম চেরাপুঞ্জীর পাহাড় হয়ে
যার ছোয়ায় তোমার বাস্প থাকা জলরাশি নেবেছিলো ঝর্ণা হয়ে
আমি ছিলাম শব্দযন্ত্রের প্রতিটি লাইনে
যার আওয়াজে তোমার ঠোঁটের জাদুতে মেতে ছিল জলসা
আমি তো এইভাবেই চিরকাল আছি তোমার সাথে
আমায় বুঝি তুমি দেখোনি!
– শঙ্খচূড়
আরও পড়ুন: