ভাটার টানে জীবন যখন, নীল সাগরের পথে
কুল ভাঙা সেই শিকড় ছেড়া, স্মৃতির ছবি সাথে।
নদীর পাড়ে বসত ছিল, নিবিড় আচ্ছাদনে
ফুলে ঢাকা সবুজ পাতায়, ফল যে কোণে কোণে।
পাখিরা সব বসাত হাট, গড়ত সুখের বাসা
তাদের মিষ্টি কলরবে, কেবল খুশি ঠাসা।
রাখাল বালক, ক্লান্ত চাষী, বসত ছায়ায় এসে
দুঃখ সুখের হাজার গল্প, বলতো হেসে হেসে।
এমনি করেই কাটতো যেদিন, সবার যেমন কাটে
যাবার দিন টা ঠিক হয়ে যায়, জীবন শুরুর সাথে।
বিধাতার এই অমোঘ বিধি, কুল ভাঙ্গারি খেলা
যাবার ডাকে যেতে হবেই, ছেড়ে সকল মেলা।
শিখর যখন আলগা হবে, কমবে যত জোর
জীবন নদীর ভাটার টানে, ছাড়বে যে ঘর দোর।
চলবে তুমি একক পথিক, ঢেউয়ের তালে তালে
থাকবে না কেউ তোমার সাথে, যাদের সাথে ছিলে।
থাকবে যে জ্ঞান, সৎকর্মের ঝুলি রেখো ভরে
যাবার পরেও তোমার যে নাম, ঘুরবে দোরে দোরে।
মায়া মোহ সকল রিপুর, কঠিন আচ্ছাদনে
ইষ্টকে তাই স্মরণ রেখো, কেবল মনে মনে।
– শঙ্খচূড়
– সোমবার, ২৮ জ্যৈষ্ঠ, 1430