জীবন পথে চলতে গিয়ে, থেমেছি এক বাঁকে
সোহাগ মাখা অতীত গুলো, কেবল পিছু ডাকে।
বয়স এখন ঢলান পথে, সন্ধ্যা যে ওই আসে
জীবন প্রদীপ মলিন হবে, তাই রয়েছি ত্রাসে।
ভবিষ্যতের অন্ধকারে, অতীত নিরুত্তর
বর্তমানের চাপের মাঝে, থেমে গেছে স্বর।
চলার পথে উড়ান ছিল, স্বপ্ন ভরা মেঘে
বাস্তবতার আলো আঁধার, সব দেখেছি জেগে।
জীবন এমন ছোট্ট এতো, বুঝিনিতো আগে
এক-এক করে গেলো সবাই, ভীষণ একা লাগে।
পিতার ছাতার সবুজ পাতা, ছিড়েঁ গেছে ঝরে
মায়ের বিয়োগ, শিকড় ছেড়া, মন যে কেঁদে মরে।
যখন শিশু, যখন বালক, কত অভিমান
যৌবনেতে এলেই বুঝি, তবেই হবে ত্রাণ।
যৌবনেতে পূর্ণ তারই কেবল পিছু ধাওয়া
থামতে যে মন চায় না যে তাই, কেবল আগে যাওয়া।
প্রৌঢ়বেলায় পৌঁছে গিয়ে এখন থমকে দেখি
আগে যাওয়ার নেশার ঘরে, নিজেই পেলাম ফাঁকি।
আসল কথা, সত্যি যেন, যে বয়সের যা-যা
প্রাণ ভোরে তা উপভোগের সেটাই আসল মজা।
পোস্টমর্টেমের ঘরে গিয়ে, ঘেটনা আর লাশ
যা পেয়েছো যা পাওনি, হয়ো না উদাস।
- শঙ্খচূড়
- সোমবার, ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০