কৃষ্ণ কেশব
দ্বারকা যে চলে গেছে- সাগরের পেটে
বৃন্দাবন আছে বটে- গোপীরা যে নাই
এখন বোলো তো কৃষ্ণ- তোমে কথা পাই।
২.মনেতে রচনা করি- বৃন্দাবন ধাম
তোমারেই খুঁজে মরি- ওগো ঘনশ্যাম
পুরীর রথের মাঝে- তুমি দাও উঁকি
মনের গভীর তৃষ্ণা- তোমাকেই দেখি।
৩.তুমি আছো ইস্কনেতে- যুগলের রূপে
আমার অবুঝ মন- গিয়ে খালি দেখে
মীরার ঘরেতে তুমি- ছিলে গিরিধারী
তোমার সুন্দর রূপ- নিহারিতে নারী।
৪.চৈতন্যের লীলাভূমি- নবদ্বীপ ধাম
শ্রীখোলেতে বেজে যায়- খালি তব নাম
কৃষ্ণ কৃষ্ণ নামে মধু- আমি মাতোয়ারা
বাঁচিবনা হে কেশব- তোমাকে যে ছাড়া।
৫.তোমার নামেতে শুধু- চোখে জল ঝরে
তুমি এস সখা হয়ে- প্রাণের মাঝারে
তুমি আছো সব শ্বাসে- সব কল্পনায়
তোমার বিহনে কৃষ্ণ- নিদ্রা নাহি পায়।
৬.কোরিনাকো আশা আমি- তোমারে দেখার
রাধারানী হেরে গেছে- আমি কোন ছার
সামান্য মানুষ আমি- অজ্ঞানেতে ভরা
উদ্ধার যে পাবোনাকো- তব কৃপা ছারা।
৭.শক্তি দাও হে প্রভু- তোমারই চিন্তনে
তোমার মুরত যেন- থাকে এই মনে
তুমিতো গো পঞ্চভূত- সবের কিনারা
তোমার বৃহনে প্রভু- মোরে যাবে সারা।
৮.যারা সব বেঁধে আছে- সংসারের মোহে
নিরলস চেষ্টা করি- শুধু কাছে গিয়ে
মূর্খরা ভাবেনা যারা- খালি অর্থ গোনে
তোমার এই মধুনাম- ভোরে দিই কানে।
৯.তাইবলি হে কৃষ্ণ- প্রাণ প্রিয় সখা
অজ্ঞানীরা ডাকে যারা- দিয়ো তারে দেখা
তোমার করুনা রসে- ভোরে দাও সবে
মৃত্যর যন্ত্রণা শেষে- তোমারেই পাবে।
১০.আমার অন্তিম ইচ্ছা- শোনো বংশীধারী
তোমার চরণে যেন- যেতে ওগো পারি
এই শুধু আশীর্বাদ- দিয়ে যায় মোরে
অকারণে কোনো ব্যাথা- দিই নাকো কারে।
১১.জীবনে চলার শেষে- শোনো প্রাণ সখা
তোমারে যে ঘনশ্যাম- পেতে চাই একা
প্রণাম তোমাকে ওগো -হে মধুসূদন
থাকে যেন সব কাজে -তোমাতেই মন।